দেখাশোনা না করলে সরকারি বেতনে কাটতি নিয়ম শুরু হলো

মাঝে মাঝেই মনের শান্তি ভঙগ করে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে ইচ্ছা করে। পরক্ষনেই "প্রতিবাদ" মনে হয় ব্যার্থ চেষ্টা। তিরের বেগে বেরিয়ে আসা তীক্ষ্ণ বাণী গুলো দুই ঠোঁটের চাপে আর প্রকাশ হতে পারে না।আজও এমনটাই হচ্ছিল, তবু আজ লিখলাম।

আইন কথাটা বলতেই আমরা বুঝি অপরাধীর বিচার ব্যাবস্থার ভিত্তি।আর এই আইন তৈরী করি আমরা যাতে করে "শাস্তির ভয়ে" অপরাধ করা থেকে দূরে থাকি।প্রতিনিয়তই নতুন নতুন অপরাধের জন্ম হচ্ছে আর সেই সঙ্গে জন্মাচ্ছে নতুন নতুন আইন। তবু হায় অপরাধে আর রাশ টানা যাচ্ছে না।

নিচের ছবিটিতে "বিশেষ একটি আইন" এর কথা বলা হয়েছে যেটি "বিশেষ একটি অপরাধ" রুখতে লাগু করা হচ্ছে। এখানে ভাবানার বিষয় যে এই "বিশেষ একটি অপরাধ" এর পরিনতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চাকুরিজীবি তথা শিক্ষিত ব্যাক্তিগন বেশ এগিয়ে রয়েছেন।আর আমরা জানি এই চাকুরিজীবি শিক্ষিত হতে গেলে প্রাথমিক,মধ্য,উচ্চ,এবং মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষা লাভ করতে হয় সেখানে রবীন্দ্রনাথ,বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ প্রমুখ মহান ব্যক্তিগনের মহান ব্যাক্তিত্ব এবং তাঁদের শিক্ষার আদর্শ সম্পর্কিত জ্ঞান দেওয়া হয়।এই মনীষীগন যদি জানতে পারেন যে তাদের আদর্শ ও চিন্তা ভাবনা কাজে লাগিয়ে এইরুপ "শিক্ষিত অপরাধী" তৈরী হচ্ছে যারা পিতা মাতার প্রতি ভালবাসা,সম্মান ইত্যাদি প্রদর্শন করাটাকে নিজেদের অফিসের বিরক্তিকর "duty" র ন্যায় ভাবছে এবং তা কামাই করার ফন্দি খুঁঝছে------তবে সত্যিই তারা খুব আশ্চার্যান্বিত ও দুঃখিত হতেন।একবার ভাবুনতো শিক্ষিত হয়ে আমরা যে এই ঘৃন্য অপরাধ করছি তা কি শুধু আইন দিয়েই রুখা সম্ভব??? আর যদিও তা এই "আইন" দিয়ে রুখা যেতে পারে, ব্যাপারটা কি একটা ভদ্র সমাজের পক্ষে লজ্জার নয়???এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যদি আমাদের অতীতের গৌরবময় সংস্কৃতি লক্ষ্য করি আমরা দেখব সেখানে "আইন" এর অভাব ছিল কারন সেখানে ছিল "সংস্কার"। বর্তমান যুগেও কেবল এই সংস্কারকে বাঁচিয়ে রেখেই আমাদের উচ্চশিক্ষার মূল্য বজায় রাখতে পারি এবং সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে পারি।।।

ধন্যবাদ

সৌরভ হালদার